বিভুরঞ্জন সরকারের জন্ম ১৯৫৪ সালে। ষাটের দশকের শেষ দিকে স্কুল ছাত্র থাকাকালেই দৈনিক আজাদ-এর মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতায় তাঁর হাতেখড়ি। লেখাপড়া শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে কাজ করেছেন। দৈনিক মাতৃভূমি, সাপ্তাহিক চলতিপত্রের সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক মৃদুভাষণের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশির দশকে এরশাদবিরােধী আন্দোলনের সময় সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে ‘তারিখ ইব্রাহিম' ছদ্মনামে লেখা তাঁর রাজনৈতিক নিবন্ধ যথেষ্ট পাঠকপ্রিয় হয়েছিল।
এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি) নামের নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের দু’জন প্রথম সারির সংগঠক তাসনিম জারা ও সারজিস আলমের মধ্যে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে কোনোভাবেই কেবল ব্যক্তি দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।
২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৫তম স্বাধীনতা দিবস। দিনটি এক গৌরবময় অধ্যায়ের স্মারক, যেখানে বাঙালি জাতির বীরত্ব, সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও বিজয়ের অমর কাহিনি জড়িয়ে আছে। একাত্তরের রক্তঝরা পথ বেয়ে যে স্বাধীনতার সূর্য উদিত হয়েছিল, তা আজ পাঁচ দশকের বেশি সময়...
পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাত ও সংকট যখন তীব্র আকার ধারণ করে, তখন শান্তি প্রতিষ্ঠার আশায় জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। কিন্তু প্রশ্ন হলো, জাতিসংঘ কি সত্যিই কার্যকরভাবে সংকট সমাধান করতে পারে, নাকি এটি শুধুই একটি প্রতীকী সংস্থা, যা আলোচনার বাইরে তেমন কিছু করতে পারে না?
বিএনপির একসময়ের ডাকসাইটে নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। তারেক রহমানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খালেদা জিয়া নীরব থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সা কা চৌ বলেছিলেন, আগে কুকুর লেজ নাড়ত, এখন লেজ...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জীবনানন্দ দাশকে উদ্ধৃত করে রাজনৈতিক আলোচনা করা পাঠকের কাছে ভালো না-ও লাগতে পারে। কারণ তাঁরা রাজনীতির মানুষ ছিলেন না। তারপরও আজ রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ উদ্ধৃত করেই রাজনীতির ওপর সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাজনীতির মানুষ না হয়েও রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলেছেন, মতামত
বাংলাদেশকে বলা হয় আন্দোলন-সংগ্রামের দেশ। রাজনীতি নিয়ে মানুষের আগ্রহ-কৌতূহল প্রবল। তবে রাজনীতিতে এখন দুষ্ট ও নষ্ট মানুষের আধিপত্য চলছে। ফলে রাজনীতিতে খারাপের সঙ্গে ভালোর প্রতিযোগিতা না হয়ে খারাপের সঙ্গে খারাপের প্রতিযোগিতা চলছে। একজন অধম হলে অন্য জন উত্তম হওয়ার চেষ্টা...
বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সংবাদপত্র অফিসে হামলা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যার মতো গুরুতর মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তি এবং প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপগুলো কেবল গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না, বরং...
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে হঠাৎ করে বিতর্ক, আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। তাঁর রাষ্ট্রপতি পদে থাকা না-থাকার প্রশ্নটি সামনে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শপথভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর পদত্যাগ অথবা তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছে। তবে তাঁকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর মনে করলেও তাঁর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত কোনো
এ বছর দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পটভূমিতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে সফল হতে পারেনি। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় সারা দেশেই শান্তিপূর্ণ ও আনন
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে দেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া বা দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা আওয়ামী স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্র-জনতার এক দফার আন্দোলনে পরিণত হওয়ার একপর্যায়ে ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জু
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কবে, কীভাবে স্বাভাবিক হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা কোনো রাজনৈতিক জ্যোতিষীর পক্ষেও সম্ভব নয়। সরকার নানাভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। কারফিউ জারি করা হয়েছে। জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসার লক
কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুতে যতটা শিক্ষার্থীদের নির্দোষ আন্দোলন ছিল, শেষ পর্যন্ত আর তা থাকেনি। সরকার শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারেনি। যে দাবি পানি ঘোলা হওয়ার পর মানা হলো, সেটা শুরুতে মানা হলে হয়তো পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠত না। আবার শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবির
দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দুর্নীতি। মানুষের মুখে মুখে সরকারের আমলা, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সরকারদলীয় নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের কারও কারও বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়। দুর্নীতির অভিযোগগুলো এত দিন সরকারবিরোধীদের অপপ্রচার বলে চালানো হলেও এখন বিষয়টি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল অনে
২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা দিবস। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই রাজনৈতিক দলটির। ১৯৪৯ থেকে ২০২৪। দীর্ঘ সময়। দীর্ঘ পথপরিক্রমা। জন্মলগ্নে নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।
১৮ জুন বিকেলে ঢাকার বাইরে ছিলাম। ঠিক ৪টা ৪২ মিনিটে মোবাইলটা বেজে উঠল। তরুণ কবি কাজী শোয়েব শাবাব ওপাশ থেকে ভেজা গলায় বললেন, ‘অসীমদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’ ফোনটা কান থেকে নামিয়ে কেমন আনমনা হয়ে পড়লাম। অসীমদা, কবি অসীম সাহা অসুস্থ ছিলেন জানি, কিন্তু তাঁর এই বিদায়ের খবর
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট কেমন হলো, তা এককথায় বলার মতো অর্থনৈতিক জ্ঞানবুদ্ধি আমার না থাকলেও পেশাগত কারণে কিছু না কিছু লিখতেই হয়। সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে হলো জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। বাজেটে কর বসানো ও কর অব্যাহতি দেওয়া একটি রুটিন বিষয়।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনেক চমক উপহার দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদিই হয়তো তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। কিন্তু ভারতীয় রাজনীতিতে মোদি-ম্যাজিক বলে যে কথাটি চালু হয়েছিল, সেটা এবার কাজ করেনি। মোদি নিজে জিতেছেন, জিতেছেন তাঁর সব কাজের দোসর হিসেবে পরিচিত অমিত শাহও। কিন্তু চার শ পার ব
লিখতে বসে একটু সমস্যায় পড়লাম। অনেক বিষয়, কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি? একেবারে টাটকা বিষয় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। দীর্ঘ সময় ধরে এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের একটি বড় এলাকায় মানুষের জীবনে বড় সংকট তৈরি হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
আমাদের দেশে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক আছে। আবার সংবাদকর্মীদের ‘কণ্ঠরোধ’ নিয়ে যতটা উতলা ভাব পশ্চিমা কিংবা আমাদের দেশের কারও কারও মধ্যে দেখা যায়, তার সিকি ভাগও সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা, চাকরির নিশ্চয়তা ইত্যাদি ব্যাপারে দেখা যায় না। যেন সাংবাদিকদের কাজ হলো ‘ওয়াচডগ’ হিসেবে সবার ‘অধিকার
ছয় দশকের রাজনৈতিক জীবন ঠিকই। এর মধ্যে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। অনেক ভুল করেছি। কিছু সাফল্যও আছে। তেমন বড় কিছু সাফল্য না। তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জমিন প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে অতি সামান্য হলেও ভূমিকা ছিল
১ মে, মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের জন্য এক ঐতিহাসিক গৌরবময় দিন। এবার বাংলাদেশে দিনটি পালিত হচ্ছে অস্বাভাবিক গরমে, যখন জনজীবনে নেমে এসেছে চরম যন্ত্রণা। দেশে কি শুধু গরমই অস্বাভাবিক? না; সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, ব্যাংকিং খাতসহ অনেক ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে না। একসময় নির্বাচন ছিল
দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও দৃঢ়চেতা নেতা তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় হঠকারিতা রোধ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে মোটামুটি সৌহার্দ্য রক্ষা এবং স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য যথাসম্ভব সমন্বয় সাধন ও সঠিক পথে অগ্রসর করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছর ১৪৩১-এর প্রথম দিন। ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বৈশাখবন্দনা, নতুন বছরকে বরণ করার আয়োজন। পয়লা বৈশাখ বাঙালির উৎসবের দিন, আনন্দের দিন, সম্প্রীতির দিন, সৌহার্দ্যের দিন।
হঠাৎ করেই অশান্ত হয়ে উঠেছে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম পীঠস্থান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা সত্ত্বেও রাতের বেলায় ক্যাম্পাসে যাওয়াকে কেন্দ্র করে একদল শিক্ষার্থী আন্দোলন শ
এবার স্বাধীনতার মাস মার্চে রোজা শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে দীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রাম, সেটা নিয়ে কিছু লিখব বলে ভেবেছিলাম। পরক্ষণেই মনে হলো, যেহেতু সংযমের মাস চলছে, সেহেতু আমাদের অসংযমী আচরণ নিয়েই নাহয় দুকথা লিখি। লিখতে বসে মনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল। পত্রিকার পাতায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা শোনার জন্য সকাল থেকেই রেসকোর্স ময়দানে জমায়েত হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। শুধু ঢাকা শহর নয়, আশপাশের এলাকা থেকেও আসতে থাকে জনতার স্রোত। বঙ্গবন্ধু যখন সভামঞ্চে এসে উপস্থিত হন, তখন রেসকোর্স পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে। এটা এখন সবারই জানা যে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য একদিকে
মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মদানের ইতিহাস একমাত্র বাঙালিরই আছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। দাবি ছিল বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার। দাবিটি ছিল অত্যন্ত ন্যায়সংগত ও গণতান্ত্রিক। কারণ
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো আন্দোলন ও সরকার পতন নিয়ে একধরনের কল্পনার জগতে আছেন বলে মনে হয়। কিছু ফেসবুক বিপ্লবীর অবাস্তব গল্পকথায় যে দেশে গণ-অভ্যুত্থান হবে না, এটা বিএনপি যত দিন উপলব্ধিতে না নেবে, তত দিন দলটি কোনো সঠিক পথের সন্ধান পাবে না।
গণতন্ত্র নিয়ে আমাদের দেশে একধরনের আদিখ্যেতা আছে। আমরা কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলি বটে, তবে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রতি আমাদের প্রকৃত আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ কতটুকু, সে প্রশ্ন করাই যায়। আমাদের কাছে গণতন্ত্র হলো পাঁচ বছর পর ভোট দিতে পারা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টানা চতুর্থবারসহ মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা হবে সারা বিশ্বেই একটি রেকর্ড। আর কোনো দেশে গণতান্ত্রিক উপায়ে এত দীর্ঘ সময় সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কোনো নজির নেই। পরপর টানা চার মেয়াদে এবং
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইশতেহারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা, অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স
হতাশাবাদী ও অপপ্রচারকারীরা সব সময় নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথ রুদ্ধ করা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও আমাদের অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকে বলেছিল শ্রীলঙ্কা হবে, এই হবে, স
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগের দুটি নির্বাচন নিয়ে যেমন রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল, হুবহু সে রকম না হলেও আগামী নির্বাচনটাও একেবারে সংকটমুক্ত পরিবেশে হচ্ছে, সেটা বলা যাচ্ছে না। ২০১৪ সালে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনেই অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিত
ডিসেম্বর মাস এলেই আমরা অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। কারণ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছিল। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগেই দেশের অনেক অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়েছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। বিএনপির মতো একটি জনসমর্থন থাকা বড় দল নির্বাচন থেকে দূরে থাকলে সেই নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে, সে প্রশ্নও আছে। আবার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপিই বা কীভাবে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে টিকে
নির্বাচন ইস্যুতে মতপ্রার্থক্য দূর করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। সংলাপের প্রশ্নে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আগাগোড়াই অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে সন্ত্রাসী ও খুনিদের দল উল্লেখ করে আলোচনায় বসার বিষয়টি
আমাদের দেশের রাজনীতিতে সংলাপ শব্দটি নতুন নয়। মাঝে মাঝে এ শব্দটি সামনে আসে, আবার হারিয়ে যায়। সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা বা সংলাপের বিকল্প নেই বলা হলেও বিষয়টি উপেক্ষা করতেই রাজনৈতিক নেতারা পছন্দ করেন। এবারও দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা নিয়ে যখন মুখোমুখি অ
রাজনীতির আকাশের রং কি বদলাচ্ছে? কালো মেঘের আনাগোনা কি বাড়ছে? বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী বিএনপির মধ্যে একধরনের ঠান্ডা লড়াই অনেক দিন ধরেই চলছে। এখন
২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৭৪ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে আমাদের মাতৃভাষাকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।
মণিপুরে তিন গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বাস: বিষ্ণুপ্রিয়া, মেইতেই ও পাঙাল। মণিপুরে গন্ধর্বদের পরে আর্য-ক্ষত্রিয়দের শাসন শুরু হয়। অর্জুনের বংশধর বক্রবাহন ক্ষত্রিয় বংশী এবং বিষ্ণুর উপাসক বলে তাদের বিষ্ণুপ্রিয়া বলা হয়। মোঙ্গলীয় তিব্বতিবর্মী-পরিবারের কুকি-চীন গোত্রভুক্ত মেইতেইরা দশম-ত্রয়োদশ শতাব্দীর কোনো এক সময়
রাজনীতিতে তাওয়া গরমের চেষ্টা চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী বিএনপি পরস্পরের বিরুদ্ধে হুমকি, হুংকার দিয়ে চলেছে। বিএনপি সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাঠে রয়েছে। তবে অনেক হম্বিতম্বি করার পরও আন্দোলনের তাওয়া রুটি-পরোটা ভাজার মতো যথেষ্ট গরম করে তুলতে পারছে না।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে ঢাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে দলটি। অধিকাংশ জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত
হ্যাঁ, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্য ও সম্প্রীতি চেতনার কবি। কিন্তু তাঁকে ‘ইসলামী কবি’ হিসেবে প্রমাণের একটি চেষ্টা পাকিস্তানি শাসকদের যেমন ছিল, তেমনি পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশের শাসকদেরও ছিল। এখনো নজরুলকে সাম্প্রদায়িক লেবাস পরানোর অপচেষ্টা শেষ হয়নি।
আজ ২৪ আগস্ট। ইয়াসমিন হত্যা দিবস। ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য কিশোরী ইয়াসমিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলেন। এ ঘটনায় সারা দেশ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। পরে এ দিনটি ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে নারী অধিকার সংগঠন ও কর্মীরা পালন করে আসছেন। প্রশ্ন হলো, দেশে নার
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা খুব কঠিন। কেউ মনে করছেন, আওয়ামী লীগ পরেরবারও নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করবে। আবার কারও ধারণা, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হতে আর দেরি নেই। কেউ মনে করছেন, আমেরিকা যে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, সেটা তো শেখ হাসিনা নিজের মুখে
সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে, এই তথ্য পাকিস্তানিদের কাছে থাকলে নির্বাচনটি নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হতো কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের যথেষ্ট কারণ আছে। আওয়ামী লীগ তথা শেখ মুজিবুর
আগস্ট মাস বাঙালির কাছে শোক ও বেদনার মাস। বাঙালি হিসেবে আমরা যাঁদের নিয়ে গর্ব করি, গৌরব করি তাঁদের কয়েক জনকে আমরা আগস্ট মাসেই হারিয়েছি। নোবেল পুরস্কার লাভের মাধ্যমে বাঙালিকে বিশ্বজনের কাছে সম্মানীয় করে তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বাঙালিকে অসীম কান্নার সাগরে ভাসিয়ে শেষযাত্রায় শামিল হয়েছেন আগস্ট মা
আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৫২ বছর। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য ও জুলুমের শাসন কায়েম করে মানুষকে অধিকারহীন, মর্যাদাহীন করে দাবিয়ে রেখে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী অনুগত ব্যক্তির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই তো আমরা পাকিস্তানি জিঞ্জির ভাঙার মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিলাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আমরা কি এটা সত্যি দা
এ লেখাটি ছাপা হওয়ার দিন, অর্থাৎ ১২ জুলাই রাজধানীতে রাজনৈতিক ‘শক্তি’ দেখাতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে করবে শান্তি সমাবেশ আর বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বড় শোডাউন করে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা দিয়ে নতুন আন্দোলনের সূচনা করবে।
মোহাম্মদ ফরহাদের জন্মদিন ৫ জুলাই। ১৯৩৮ সালের আজকের দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজকের প্রজন্ম মোহাম্মদ ফরহাদ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানে বলে মনে হয় না। জীবিতকালে যিনি দেশের রাজনীতিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছিলেন